
আগষ্টিন প্রতাপ গমেজ
চেয়ারম্যান
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ
সম্মানিত সদস্য-সদস্যা ও শুভাকাঙ্খীবৃন্দ,
প্রথমেই আমি ও আমার ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই সমবায়ী প্রীতি ও শুভেচ্ছা। বিগত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে হাউজিং সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠ-সুন্দর পরিবেশে ও সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে যা সমাজে ও সমবায় অঙ্গনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে পরিগণিত হয়েছে । নির্বাচনে আপনারা আমাকে ও আমার পরিষদকে ভোট প্রদান করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে সোসাইটির উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। আমি আজ অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে সকল সদস্য-সদস্যাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বিদায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন ও তার পরিষদকে। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সোসাইটির নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিটি, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ কর্তৃক মনোনীত পর্যবেক্ষণ কমিটির সম্মানিত পর্যবেক্ষণগণ, স্টিয়ারিং কমিটিসহ সকল কমিটি-উপ কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ, বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাচন পরিচালনাকারী ব্যক্তিবর্গ ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দদের প্রতি।
আমি আজ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’ এর সাতাশ জন নিবেদিতপ্রাণ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের দিনে এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একটি স্বপ্ন ছিল রাজধানী ঢাকা শহরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের লক্ষ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা। তাদের সেই স্বপ্ন আজ অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হয়েছে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠা লগ্নে তৎকালীন ঢাকার পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও’র অবদানের প্রতি আজ আমরা কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল কর্মকর্তাদের।
আপনারা অবগত রয়েছেন যে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আমি আমার পরিষদ নিয়ে বিদায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করি এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে শপথ গ্রহণ করি। ঢাকার পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ওএমআই প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে আমাদের ২২জনকে শপথ বাক্য পাঠ করান। আমি এ জন্যে শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই হাউজিং সোসাইটির দীর্ঘ ইতিহাসে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ হতে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দায়িত্বপালনকারী ব্যবস্থাপনা কমিটি ও কমিটির চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকশনের অবদানে সোসাইটির আয়বর্ধকমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম সাধিত হয়েছে। তিনি সোসাইটির ২২২ কোটি টাকার সম্পদকে ৩৫০০ কোটি টাকার সম্পদের প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছেন। তার অসামান্য মেধা, জ্ঞান ও অক্লান্ত পরিশ্রমের অবদানের আজকে আমরা হাউজিং পরিবারে উন্নতির শিখরে উঠে আসতে পেরেছি। সোসাইটির প্রতি তার অবদান শুধু আমাদের কাছে নয়, সমাজের সকল স্তরে, সকল স্থানের দলমত নির্বিশেষে মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি হাউজিং সোসাইটির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সারাদেশের হাজারেরও বেশি সমবায় প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরিচালিত কালবের মতো দেশের বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন-এটা তার মেধা, গুণ ও মানুষের ভালবাসারই ফসল। তিনি হাউজিং সোসাইটির যে আয়বর্ধকমূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো রেখে গিয়েছেন আমরা তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।
আমরা নির্বাচনের সময়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা যথাযথভাবে পালন করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করছি। যে অসমাপ্ত কাজগুলো রয়েছে আমরা সেই কাজগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন করবো। আমরা আপনাদের কষ্টের আমানত সর্বোচ্চ সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবো। আমরা জবাবদিহিতার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যাবো। আমরা সদস্যসেবা আরও বেগবান করে সর্বোচ্চ সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
আমি হাউজিং সোসাইটির বর্তমান সম্পদ-পরিসম্পদ ও অবস্থান তুলে ধরতে চাই। হাউজিং সোসাইটির সুদীর্ঘ সময়ে সোসাইটিতে ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি সোসাইটির দায়িত্বভার গ্রহণ করলেও সোসাইটির উন্নয়নে গতিশলীতা তেমন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হননি। বরং নানা অনিয়মে জর্জরিত হয়ে হাউজিং সোসাইটির উন্নয়ন নিম্নমূখী হয়েছিল। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে হাউজিং সোসাইটিতে ত্রাতা হয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন ও তার পরিষদ। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকালীণ সময় হতে পরবর্তী ৩৬ বছরে জমির পরিমাণ যেখানে ছিল ২৭৭ বিঘা সেখানে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ পরবর্তী মাত্র ১২ বছরে ১১০০ বিঘায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন। ফ্ল্যাট প্রকল্প যেখানে ছিল ১২টি বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০৫ টি উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন এবং ফ্ল্যাট সংখ্যা বর্তমানে ২১০৪টি এবং এতে ৪০০টি পরিবার বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন। সোসাইটির সদস্যদের আবাসন সুবিধার জন্য বর্তমানে ৮৬টি প্লট প্রকল্পে মোট ৪৮৫৫টি প্লট রয়েছে। আমি সোসাইটির এই সম্পদ-পরিসম্পদকে যথাযথ সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগিয়ে যেতে দৃঢ় সংকল্প করছি। এমনকি সামনের দিনগুলো সদস্যদের কল্যাণে আরও নতুন নতুন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
আমাদের সম্পন্নকৃত ও চলমান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে :
সোসাইটিতে ‘শেয়ার, সঞ্চয়, ফ্ল্যাট ও প্লট প্রকল্প, দীর্ঘ মেয়াদী আমানত, স্বল্প মেয়াদী আমানত, শর্ট-টার্ম এইচডিপিএস, মিলিয়নিয়ার স্কীম, হাউজিং ডিপোজিট পেনশন স্কীম’ প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি টেকসই ও উৎপাদনমূখী সমবায় গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সোসাইটিতে আয়বর্ধকমূলক সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করে আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এগুলো হলো :
(১) নীড় রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট: ‘নীড় রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট’ গাজীপুরের পুবাইল-ডেমরপাড়ায় অবস্থিত। ইতিমধ্যে সভা-সেমিনার, পিকনিকসহ যেকোন অনুষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। ৬তলা বিশিষ্ট মূল ভবনের পাশাপাশি এতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, স্পা ও জীম, কীডস জোন, প্রশস্ত খেলার মাঠসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা।
(২) শান্তির নীড় প্রবীণ নিবাস ও গেস্ট হাউজ: গাজীপুরের মঠবাড়িতে ‘শান্তির নীড় প্রবীণ নিবাস ও গেস্ট হাউজ’ প্রকল্পটির অবস্থান। ইতিমধ্যে গেস্ট হাউজ হিসাবে সভা-সেমিনার, পিকনিকসহ পারিবারিক অবকাশ যাপন হিসাবে চালু করা হয়েছে। এতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, প্রশস্ত খেলার মাঠসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা।
(৩) নীড় থীমপার্ক এন্ড রেস্টুরেন্টে: ঢাকা-কালীগঞ্জ-সিলেট হাইওয়ে রোডে দড়িপাড়ায় অবস্থিত নীড় থীমপার্ক এন্ড রেস্টুরেন্ট প্রকল্পটি। ইতিমধ্যে রেস্টুরেন্ট ও অবকাশ যাপনের রিসোর্ট এবং সুইমিংপুল কাজ শেষ পর্যায়। আধুনিক ও নিরাপদ রাইডের সংস্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি আগামী ছয় মাসের মধ্যে থীম পার্কের অবশিষ্ট কাজের একটি দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারবো।
(৪) নীড় ছাত্রী হোস্টেল: ফার্মগেইটের পশ্চিম তেজতুরীবাজারে ৬তলা বিশিষ্ট সোসাইটির নিজস্ব বিল্ডিংএ প্রায় ৭০জন ছাত্রী বসবাসের সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রিশ জন ছাত্রী বসবাস করে পড়াশুনা করছেন এবং পূর্ণাঙ্গভাবে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
(৫) আগামীদিনে পরিকল্পনায় : হাউজিং সোসাইটির আগামী দিনে নীড় টাওয়ার ও কনভেনশন হল, নীড় থ্রি-স্টার হোটেল, নীড় অটোব্রিক্স ইত্যাদি আয়বর্ধকমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ফিজিবিলিট স্টাডি চলমান রয়েছে। আমরা হাউজিং সোসাইটিতে নিজস্ব আর্কিটেক্টসহ ইঞ্জিনিয়ারিং সেল পনুর্গঠন করে আধুনিক মানসম্মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা বছরে অন্তত ১০টি ফ্ল্যাট বিল্ডিং নির্মাণ করে সদস্যদের আবাসন সমস্যা নিরসনে অগ্রসর হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার করছি। এমনকি হাউজিং সোসাইটিতে ঢাকা বিভাগসহ যে সকল স্থানে জমি রয়েছে তা প্লট আকারে ডেভেলপ করে বিক্রয়যোগ্য করে প্রস্তুত করা এবং সদস্যদের প্রয়োজন ও চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিয়ে নতুন নতুন জমি ক্রয় করে প্লট প্রস্তুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমি আগামীদিনের এই গৃহীত কার্যক্রমগুলো আমার পরিষদ নিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো বাস্তবায়ন করতে যেন সদস্য-সদস্যা, বিনিয়োগকারীগণ তাদের কাঙিক্ষত সেবা দিয়ে হাউজিং সোসাইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অটুট রাখতে পারি।
অন্যদিকে, হাউজিং সোসাইটি সদস্যদের জীবন-মান বিনির্মানে বছরের সকল সময়ই প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সাধারণ ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ, গৃহ নির্মাণ/জমি বন্ধকী ঋণ, উচ্চ শিক্ষা ঋণ, স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ঋণ ও দুঃস্থ বিধবা নারীদের ঋণ বিতরণ করার মধ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে।
সোসাইটিতে রয়েছে একঝাঁক কর্মী। সদস্যদের সেবা দিতে কর্মীগণ বদ্ধপরিকর। যেকোন অফিসের কাজের প্রয়োজনে সদস্যদের সেবায় বিঘ্নতা পরিলক্ষিত যেন না হয় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন প্লটে ও ফ্ল্যাটে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ারিং লোকবল। দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে হাউজিং সোসাইটি যে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারছে তা বলাই বাহুল্য।
হাউজিং সোসাইটি সমাজ সেবার কাজেও সম্পৃক্ত রয়েছে। মন্ডলীর যেকোন কাজে হাউজিং সোসাইটি এগিয়ে আসে। বিশেষ করে গির্জা নির্মাণ, কবরস্থান সংস্কার, বাউণ্ডারি নির্মাণ, স্কুল-কলেজে সহায়তা, ব্রতীয় জীবনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা, বন্যার্ত ও শীতার্তদের সহযোগিতা, রোগি-অসুস্থ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা, বিভিন্ন সংঘ/সমিতির অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতাসহ নানা কাজে রয়েছে অংশগ্রহণ। আমি এ সকল কাজগুলো ধারাবাহিকতায় সচল রাখার প্রত্যাশা রাখি।
সোসাইটির ওয়েব সাইট একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যম। তাই বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ওয়েব সাইটকে সম্পূর্ণ আপ-ডেট করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি হাউজিং সোসাইটির ত্রৈমাসিক প্রকাশনা ‘নীড়’ ম্যাগাজিনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নীড় সংবাদ’ ও ‘নীড় সংবাদ’ ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এতে সোসাইটির সর্বশেষ সুযোগ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।
সম্মানিত সদস্য-সদস্যাবৃন্দ, আপনারা সকলেই জানেন, হাউজিং সোসাইটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জাতীয় স্বর্ণপদক পুরস্কার অর্জন করতে পেরেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। তিনি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেশের জাতীয় স্বর্ণপদক পুরস্কার অর্জন করেছেন। সেই সঙ্গে জাতীয়-আন্তর্জাতিক আরও বহু সম্মাননাসহ পুরস্কার অর্জন করেছেন। আমি এ সময়ে এসে তাকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমিও উনার মতো হাউজিং সোসাইটিতে সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো এবং সোসাইটির সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সম্মাননা প্রাপ্তিতে যেন এগিয়ে যেতে পারি এ জন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও প্রার্থনা কামনা করছি।
পরিশেষে বলতে চাই, সোসাইটির বর্তমান স্বচিত্র উন্নয়ন অবলোকন করুন এবং সুষ্ঠ বিনিয়োগে অংশীদার হোন। সোসাইটির দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করুন এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে পারিবারিক অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়ন করুন।
পরিশেষে, সবার সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা ও মঙ্গল কামনা করছি।
আগষ্টিন প্রতাপ গমেজ
চেয়ারম্যান
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ