সাধারণ ঋণ
আপনার ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণে হাউজিং সোসাইটির সাধারণ ঋণ
ঋণ নীতিমালা
১। সদস্যপদ লাভের নূন্যতম ৬ মাস পর সদস্যগণ ১ম ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
২। সদস্য/সদস্যাদের ঋণের জামিনের সুবিধার্থে সাধারন যে কোন ঋণের ক্ষেত্রে ৩০% বুক সিকিউরিটি এবং ৭০% MICR ব্যাংক চেক গ্রহনের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
৩। যে সকল সদস্য/সদস্যা MICR ব্যাংক চেক জামিন দিয়ে ঋণের সুবিধা গ্রহন করবে, সে সকল সদস্য/সদস্যা ঋণের আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই ১,০০০/- টাকার সমপরিমান অফেরৎ যোগ্য একটি A/C Payee চেক যাচাই করার সাপেক্ষে জমা দিতে হবে।
৪। বর্তমান শেয়ারের উপর ঋণ গ্রহন করলে ১৮% হারে ঋণের সুদ ধার্য্য করা হবে।
৫। MICR চেক জামিন দিয়ে ঋণের সুবিধা গ্রহন করলে অনুমোদিত ঋণ হইতে অথবা নগদ অতিরিক্ত সেবা ১% সার্ভিস চার্জ জমা দিতে হবে। ১১০% জামিন দিলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
৬। আবেদনকারীর জামিনকৃত ব্যাংক চেক যদি কোন কারণে ডিস-অনার হয় তাহলে ঋণের আবেদন পত্র ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল বলে গণ্য করবে।
৭। আবেদনকারী ও পরিবারের অন্য কোন সদস্য অত্র প্রতিষ্ঠানে অথবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপী থাকলে ব্যবস্থাপনা কমিটি আবেদনকারীকে ঋণ পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত করবেন।
৮। দীর্ঘ দিন ঋণ খেলাপী হয়ে ঋণের সুদ অথবা জরিমানা মওকুফ নিলে ঋণ পরিশোধের পরবর্তী ১ বৎসর পর্যন্ত ঋণ গ্রহন করতে পারবে না।
৯। কোন সদস্য-সদস্যা ঋণের আবেদন পত্রে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করলে এবং তা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থাপনা কমিটি আবেদনকৃত ঋণ বাতিল বলে গণ্য করবে।
১০। খেলাপী ছিলেন এই ধরণের সদস্যদের ঋণ পরিশোধের ৩ মাস পর নতুন ঋণের আবেদনের জন্য বিবেচ্য হবে।
১১। যে সকল সদস্য/সদস্যা পূর্বের এবং বর্তমান ঋণ নিয়মিত কেবল মাত্র সে সকল সদস্য/সদস্যদের বেলায় টপ-আপ ঋণের বিষয়টি বিবেচিত হবে।
১২। পুনঃ তফসিলকৃত বা Re-scheduled ঋণের ক্ষেত্রে ৬ মাস নিয়মিত কিস্তি প্রদানের পর জামিন চলবে।
১৩। একজন সদস্য মোট ১২জন সদস্যদের ঋণের বিপরীতে জামিন হতে পারবে।
১৪। ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ঋণ দান কমিটি এবং ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন কমিটি ঋণ অনুমোদন করবে। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ কমিটি মাসিক ৩টি সভা করতে পারবেন।
১৫। অত্র সোসাইটির কোন সদস্য অন্য ধর্ম গ্রহণ (ধর্মান্তরিত) করলে ঋণ পাওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
১৬। ঋণদান পরিষদ কর্তৃক অনুমোদনযোগ্য ঋণের আবেদন পত্র ঋণদান পরিষদ সভার ৩ দিন আগে এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন যোগ্য ঋণের আবেদন পত্র মাসিক সভার চলতি মাসের ১৫ দিন আগে ঋণ বিতরণ বিভাগে জমা দিতে হবে।
১৭। একজন সদস্যের বই দিয়ে অন্য কোন সদস্য ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না। এই ধরণের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট জড়িত উভয় সদস্যের বিরুদ্ধে পরিচালক মন্ডলী যে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
১৮। পূর্ব ঋণ পরিশোধের ৭ (সাত) দিন পর নতুন ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। সে ক্ষেত্রে আগেই ঋণের আবেদন পত্র জমা দেয়া যাবে। ঋণ অনুমোদনের পর সকল শর্তপূরণ স্বাপেক্ষে আবেদনকারী ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে তার পূর্ব ঋণের ফেরৎ দেয়ার আচরণবিধি বিবেচনায় আনা হবে।
১৯। প্রতিটি ঋণের জন্য আবেদনকৃত ঋণের কমপক্ষে ১০% বেশি জামিন দিতে হবে।
২০। ঋণ আবেদনকারী পেশায় ছাত্র বা চাকুরীর কারণে বিদেশে অবস্থান করলে তার ঋণের টাকা দেশে অবস্থানরত পরিবারের একজন উপার্জনশীল সদস্যকে (স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্বামী, সন্তানের ক্ষেত্রে পিতামাতা) ঋণ পরিশোধের জন্য একটি অঙ্গীকার প্রদান করতে হবে।
২১। ৬০ বছরের উর্ধে কোন সদস্য/সদস্যা ঋণ ইন্স্যূরেন্স ভুক্ত হবে না। ৬০ বছরের উর্ধেŸ কোন সদস্য ঋণ গ্রহণ করতে চাইলে ৩০০/- (তিনশত) টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তির অঙ্গীকার নামা দিতে হবে।
২২। প্রতিটি ঋণের জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্র নির্ভূলভাবে পূরণ করে সদস্য/সদস্যার সোসাইটির পরিচয় পত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিজের ও জামিনদারদের পাস বই জমা দিতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন পত্র বিবেচনা করা হবে না। ঋণ আবেদন পত্রে কাটাকাটি করা যাবে না। ভুল হলে একদাগে কেটে স্বাক্ষর করতে হবে।
২৩। ক্রস সিউরিটি বা আড়াআড়ি জামিন গ্রহণযোগ্য নয়। যে মাসে জামিন দিবে ঋণ গ্রহীতা পরবর্তী মাসে কিস্তি প্রদান করলেই কেবল পুনরায় জামিন দেয়া যাবে। উল্লেখ্য যে, জামিনদাতা একই মাসে তার নিজের ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
২৪। অনুমোদন ছাড়া ভাঙ্গা কিস্তি দিলে সেই সদস্যের জামিন চলবে না। তবে পরিচালনক মন্ডলীর সভার পূর্বে যদি জামিনদার পূর্ণ কিস্তি প্রদান করেন তবে জামিন দেয়া যাবে।
২৫। ঋণ আবেদনকারীর জামিনদার ঋণ খেলাপী হলে কমপক্ষে তিনটি পূর্ণ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
২৬। ঋণের জন্য প্রদত্ত জামিন দাতা সদস্যবৃন্দ খেলাপী হলে বা তাদের হিসাবে কোন বকেয়া ঋণ থাকলে জামিন চলবে না।
২৭। নিজস্ব এইচডিপিএস ও হাউজিং ডিপজিট স্কীম, স্থায়ী আমানত এর টাকা নিজের ঋণের
জন্য জামিন দেয়া যাবে।
২৮। ঋণদান পরিষদ চাইলে যে কোন ঋণ আবেদনকারী সদস্য/সদস্যা কে তার পেশা ও আয়ের উৎস যেমন-বেতনের সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি এবং ঋণ আবেদনকারী অন্যকোন ক্রেডিট ইউনিয়নের সদস্য থেকে থাকলে সেখানে তিনি খেলাপী নন এই মর্মে উক্ত ক্রেডিট ইউনিয়নের/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
২৯। ঋণ আবেদনকারী অনুমোদিত ঋণ নিজে এসে চেক গ্রহণ করতে না পারলে আবেদনকারীর সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে। ঋণ আবেদনকারীর সদস্য/সদস্যা এর স্বাক্ষরিত অধিকারপত্র (letter of Authorization) থাকলে একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য ঋণের চেক গ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অধিকার পত্র (letter of Authorization) প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
৩০। প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে সোসাইটির ঋণ ইন্স্যূরেন্স বা বীমা পলিসি অনুসারে ঋণ বীমার আওতায় পড়বে।
৩১। পরিচালক মন্ডলী সোসাইটির তহবিলের অবস্থা এবং এর তারল্য বিবেচনা করে ঋণ মঞ্জুরের টাকা কিস্তিতে প্রদান করার ক্ষমতা রাখে।
৩২। পরিচালক মন্ডলী সদস্যদের ঋণ পরিশোধের পূর্ব রের্কড/ আচরণ বিবেচনা করে যে কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষিত রাখে। একইভাবে ঋণ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অতি উত্তম সদস্যদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা বা প্রনোদনা বা সুবিধা দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
৩৩। ঋণ আবেদনকারীকে আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় অথবা ঋণের টাকা উত্তোলন করার সময় একবার স্বশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
৩৪। পূর্বের ঋণ পরিশোধে ৫ মাসের বেশী খেলাপী থাকলে পরবর্তী সিলিং বিবেচিত হবে না।
৩৫। অন্যান্য সমিতিতে সদস্য থাকলে তার সদস্য নং (পরিবারসহ) ঋণের বিবরণে উলে¬খ করতে হবে।৩৬। এক লক্ষ টাকার উপরে ১৫ তারিখের পূর্বে ঋণ গ্রহন করলে চলতি মাসে গ্রহনকৃত ঋণের উপর সুদ প্রদান করতে হবে।
৩৭। সাধারণ ঋণের ধাপ সমূহঃ
১ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ১০ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ৫০,০০০/- টাকা |
২ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ১০ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ১,০০,০০০/- টাকা |
৩য় ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ১,৫০,০০০/- টাকা |
৪র্থ ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ২,৫০,০০০/- টাকা |
৫ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ৪,০০,০০০/- টাকা |
৬ষ্ঠ ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ৬,০০,০০০/- টাকা |
৭ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ৮,০০,০০০/- টাকা |
৮ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ১০,০০,০০০/- টাকা |
৯ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৯ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ১৫,০০,০০০/- টাকা |
১০ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৮ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ২০,০০,০০০/- টাকা |
১১ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৮ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ২৫,০০,০০০/- টাকা |
১২ম ঋণঃ | ৩ মাস পূর্বের শেয়ারের ০৮ গুন হিসেবে সর্বোচ্চ | ৩০,০০,০০০/- টাকা |
৩৮। ঋণের কিস্তির মেয়াদ
ক) ১০০০/-(এক হাজার) টাকা হতে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ১ টাকা হিসাবে এককালীন সার্ভিস চার্জ/সেবামূল্য প্রদান করতে হবে এবং ১,০০,০০১/- (এক লক্ষ এক টাকা) হইতে উর্দ্ধে ১% হারে এককালীন সার্ভিসচার্জ/সেবামূল্য প্রদান করতে হবে।
খ) ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা হতে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণের টাকা ৩৬ (ছত্রিশ) কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
গ) ১,০০,০০১/-(এক লক্ষ এক) টাকা হতে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণ ৬০ (ষাট) কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
ঘ) ৩,০০,০০১/-(তিন লক্ষ এক) টাকা হতে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণ ৮৪ (চুরাশি) কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
ঙ) ১০,০০,০০১/-(দশ লক্ষ এক) টাকা হতে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ঋণ ১২০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।