উচ্চশিক্ষা ঋণ
খ্রীষ্টান সমাজের মেধাবী ও আর্থিক অস্বচ্ছল ছাত্র/ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে উচ্চতর শিক্ষায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-আপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির লিঃ এর একটি নতুন পদক্ষেপ উচ্চ শিক্ষা ঋণ প্রকল্প।
উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবন উন্নতকরণে এই প্রকল্প সহায়তা করবে। সে লক্ষ্যে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। বলা যেতে পারে বর্তমান ব্যবস্থপনা কমিটি একটি উন্নত সুশিক্ষিত সমাজ বিনির্মানে অবদান রাখতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। তাই সহজ শর্তে উচ্চ শিক্ষায় ঋণ প্রদানে নি¤œলিখিত নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।
সুচিপত্র
ক) ঋণ আবেদনকারীর যোগ্যতাঃ
০১. উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের জন্যে এ ঋণ কার্যক্রম প্রযোজ্য হবে।
০২. একই পরিবারে একাধিক উচ্চ শিক্ষা ঋণ প্রদান বিবেচ্য হবে না।
০৩. উচ্চ শিক্ষার জন্যে আগ্রহী ছাত্র/ছাত্রীদের অবশ্যই সোসাইটির সদস্য/সদস্যা হতে হবে এবং আবেদনের সময় তার সদস্যপদের বয়স নূন্যতম ১ (এক) বছর হতে হবে।
০৪. এস. এস. সি ও এইচ. এস .সি/একাদশ ও দ্বাদশ পরীক্ষায় যে কোন একটিতে অবশ্যই প্রথম বিভাগ(অ-) এবং অপরটিতে দ্বিতীয় বিভাগ (ই) থাকতে হবে। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে আগত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কিছুটা শিথিল যোগ্য।
০৫. উচ্চশিক্ষা ঋণের জন্যে সোসাইটি কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী নিজে সরাররি উপস্থিত হয়ে ঋণের আবেদন ফরম জমা দিতে হবে।
খ) ঋণের সাধারণ নিয়মাবলীঃ
০১. বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্র/ছাত্রীদের বেলায় সর্বোচ্চ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা ঋণ প্রদান করা হবে। উক্ত ঋণের জন্যে ৩ (তিন) মাস পূর্বের জমাকৃত শেয়ারের ১০ (দশ) গুন হিসাবে ঋণ প্রদান করা হবে, তবে তা ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার অধিক নয়।
০২. বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্র/ছাত্রীদের বেলায় সর্বোচ্চ ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা ঋণ প্রদান করা হবে। উক্ত ঋণের জন্যে ৩ (তিন) মাস পূর্বের জমাকৃত শেয়ারের ৮ (আট) গুন হিসাবে ঋণ প্রদান করা হবে,তবে তা ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকার অধিক নয়।
০৩. দেশে ও বিদেশে অধ্যয়নরত আবেদনকারী ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা সেমিষ্টার মাসিক পর্যায়ক্রমে ঋণ প্রদান করা হবে।
০৪. প্রতিটি বার্ষিক/সেমিষ্টার পরীক্ষার ফলাফলের কপি বাধ্যতামূলক ভাবে সোসাইটির অফিসে জমা দিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী কিস্তি প্রদান করা হবে না ।
০৫. অত্র সোসাইটি বা অন্য কোন সমিতির আবেদনকারীর বকেয়া ঋণ থাকলে তিনি আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
০৬. মঞ্জুরীকৃত ঋণের টাকা মাসিক/সেমিষ্টার/কোর্স ফি হিসাবে সরাসরি সোসাইটি কর্তৃক পে-অর্ডার/চেকের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বরাবর পরিশোধ করা হবে।
গ) জামিনঃ
০১. আবেদনকৃত ঋণের ১০% অতিরিক্ত শেয়ার জামিন হিসাবে প্রদান করতে হবে।
০২. আবেদনকারীর পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্যের জামিন বাধ্যতামূলক।
০৩. ঋণের আবেদনকারী যেহেতু উপার্জনহীন তাই তার অনুকূলে উপার্জনক্ষম অভিভাবকে (পিতা/মাতা) ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ৩০০ (তিনশত) টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে। আবেদনকারীর নিজ ব্যাংক হিসাবের সমপরিমাণ অংকের তারিখ বিহীন ব্যাংক চেক প্রদান করতে হবে।
০৪. সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির দু’জন সদস্য আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্তৃক আবেদন পত্রে সুপারিশ থাকতে হবে।
ঘ) ঋণ পরিশোধের শর্তাবলীঃ
০১. ঋণ নেয়ার ১২ মাস পর্যন্ত শুধু ঋণের ১২% হারে সুদ প্রদান করতে হবে। ১২ মাস পর থেকে ঋণের নিয়মিত সুদসহ কিস্তি প্রদান করতে হবে।
০২. উচ্চ শিক্ষা ঋণ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত ৩৬ টি মাসিক কিস্তি এবং ৫,০০,০০১/- থেকে ১০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ৬০ টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য হবে।
ঙ) ঋণ আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডুকুমেন্টস্ঃ
০১. অত্র প্রতিষ্ঠানের আই. ডি. কার্ডের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে।
০২. আবেদনকারীর নিজ নামের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিতে হবে।
০৩. জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি /জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের ফটোকপি দিতে হবে।
০৪. এস. এস. সি ও এইচ. এস. সি-র মার্কশিট এবং সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হবে।
০৫. অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আই. ডি. কার্ড ও ভর্তি রশিদের ফটোকপি এবং অধ্যক্ষ বা বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র দিতে হবে।
০৬. আবেদনকারীর স্থানীয় মিশন/চার্চ-এর পালপুরোহিত /পালকের প্রত্যায়ন পত্র আবেদন পত্রের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার প্রমান পত্র পালপুরোহিত/পালক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
০৭. বিদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রক্রেপটেন্স এবং একোমোডেশন লেটারসহ প্রথম সেমিষ্টারের পেমেন্ট ¯িøপ জমা দিতে হবে।
০৮. পাসপোর্ট ফটোকপি এবং পরবর্তীতে ভিসাসহ পাসপোর্টের ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
০৯. অত্র ঋণ নীতিমালায় যে সমস্ত বিষয় উল্লেখ নেই তৎসম্পর্কে কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।