সিলেট-সুনামগঞ্জ জেলায়
বন্যার্তদের পাশে হাউজিং সোসাইটি
![The MCCHS Ltd.](https://i0.wp.com/mcchsl.org/wp-content/uploads/2022/06/1-2.jpg?fit=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/mcchsl.org/wp-content/uploads/2022/06/2-2.jpg?fit=768%2C493&ssl=1)
দেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও গরীব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ। সোসাইটির মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সম্মানিত চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে তাঁর কর্মচঞ্চল ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে গত ২৭ জুন ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ, সোমবার, সোসাইটির যুব কমিটি ও অফিস কর্মীদের মাধ্যমে একটি টীম খাদ্যপণ্য ও ঔষধপত্র প্যাকেজিং করে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। যাত্রার প্রাক্কালে রাত এগারটায় সোসাইটির চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাবৃন্দ বন্যার্তদের কষ্ট লাঘবে ও বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার জন্যে ঈশ্বরের নিকট বিশেষ প্রার্থনা নিবেদন করা হয়। প্রার্থনা পরিচালনা করেন সোসাইটির সেক্রেটারি ইমানুয়েল বাপ্পী মন্ডল। এ সময়ে চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন সিলেট-সুনামগঞ্জের দুর্গত মানুষের জন্যে খাদ্যসামগ্রী নিরাপদে ও সুষ্ঠভাবে পরিবহনের মাধ্যমে যেন পৌঁছতে পারেন এ জন্যেও শুভ কামনা করেন।
২৮ জুন মঙ্গলবার, দুপুর বারটায় সিলেট বিশপ হাউজে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কর্মকর্তাগণ পোঁছান। সোসাইটির সেক্রেটারি ইমানুয়েল বাপ্পী মন্ডলের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিলেট ধর্মপ্রদেশের সেক্রেটারি ফাদার জনী ফিনি ওএমআই খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করেন। সোসাইটির পক্ষে ডিরেক্টর প্রতাপ আগষ্টিন গমেজ, ডিরেক্টর উজ্জ্বল ফ্রান্সিস রিবেরু, লোন কমিটির সেক্রেটারি লিংকার্স রোজারিও ও সদস্য শুভ রঞ্জন চিসিম সিলেট ধর্মপ্রদেশের বিশপ বিদেশে অবস্থান করায় ফাদারের হাতে এ সময়ে খাদ্যসামগ্রী ও চালানপত্র তুলে দেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ ওএমআই অবগত রয়েছেন এবং সিলেট ধর্মপ্রদেশ ও সিলেট কারিতাসের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সিলেট ধর্মপ্রদেশের সহযোগিতায় ৫০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি প্যাকেজে ২০ কেজি সমপরিমাণ খাদ্যদ্রব্য রয়েছে যা দিয়ে প্রায় ২৫০০-৩০০০ জন মানুষের প্রায় পনের দিনের খাবার পরিবেশন করা যাবে। প্রতিটি পরিবারের জন্যে শিশু খাদ্য ও ঔষধপত্রসহ বরাদ্দ ছিল চাল-১০কেজি, ডাল-২কেজি, তেল-১লিটার, লবন-১কেজি, চিড়া-২কেজি, গুড়-আধা কেজি, মার্কস দুধ-১কেজি, বিস্কুট-১কেজি, ওরস্যালাইন-১বক্স, পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট-৩০টি, নাপা টেবলেট-২০টি ও নাপা সিরাপ-২টি। এ সকল খাদ্য পরিবহনে সহযোগিতার জন্যে এম.এম. ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটর মি. বাবু মার্কুস গমেজকে সোসাইটির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।