দি এমসিসিএইচএস লিঃ
“শান্তির নীড়” বৃদ্ধাশ্রম সার্ভে
বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত পূর্বাচল নতুন শহরের সন্নিকটে কালীগঞ্জের মঠবাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর বৃদ্ধাশ্রম “শান্তির নীড়”। সোসইটির সদস্য-সদস্যাদের আশাপূরনের জন্য ১ম পঞ্চবার্ষীকিতে পরিকল্পনা গ্রহন করে সোসাইটির ২য় পঞ্চবার্ষীকির আলোকে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩১ শতাংশ জমি নিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রবীণ নাগরিক বা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যাদের সন্তানরা বিদেশে থাকে বা দেশে থাকলেও ব্যস্ততার কারনে বাবা-মায়ের সেবা-যত্ন করতে পারেনা বা করার মত কেউ নেই বা থাকলেও সেবার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে তাদের কথা চিন্তা করে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সামাজিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং সার্বজনীন ভাবে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ প্রকাশ করা।
দি এমসিসিএইচএস লিঃ বৃদ্ধাশ্রম “শান্তির নীড়” থেকে যে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন:
মূল রাস্তা সংলগ্ন প্রকল্পটিতে থাকছে মোট ৩টি ভবন। মূল ভবনের নাম করন করা হয়েছে স্বর্গীয়া আন্না কোড়াইয়া ভবন। অপর আরেকটি ভবনে রয়েছে নার্সিং ইনস্টিটিউট/হেলথ কেয়ার, যার মাধ্যমে শান্তির নীড়ে বসবাসকারীদের জন্য সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা থাকবে। সেই সাথে থাকছে সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য চ্যাপেল বা প্রার্থনার স্থান, সুসজ্জিত বাগান এবং দৃষ্টি নন্দন লেক।
মূল ভবনে আধুনিক সুবিধা সম্মলিত মোট ৩০ টি রুম থাকবে, যেখানে ১২০ জন প্রবীণ নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। শান্তির নীড়ে বসবাসকারীদের জন্য থাকবে উন্মুক্ত মাঠ, মেডিটেশন হল, খাবারের জন্য ডাইনিং সুবিধা এবং রিক্রিয়েশনের জন্য আলাদা হল। এখানে একজন প্রবীণ থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য সুবিধা গ্রহন করতে পারবেন দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে থাকতে পারবেন।
শান্তির নীড়ে বসবাসকারী প্রত্যেকের জন্য স্বল্প ব্যয়ে নার্সিং সেবার ব্যবস্থা থাকবে। বসবাসকারী প্রত্যেকের জন্য থাকবে প্রয়োজন মাফিক ডাক্তারী সেবার সু-ব্যবস্থা। নিয়মিত নার্সিং সেবা ও ডাক্তরী সু-ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে ফিজিও থেরাপির ব্যবস্থা। বয়ষ্কদের ঔষধের জন্য যেন অন্য কোথাও যেত না হয় সেজন্য থাকবে ইনডোর ফার্মেসির ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য ও মনে প্রশান্তির জন্য থাকবে মেডিটেশনের এবং রিট্রিট এর ব্যবস্থা।
প্রকল্পে নার্সিং ইনস্টিটিউট এর পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পড়া ব্যাক্তিদেরকে ব্যবহার করে, তাদেরকে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কেয়ার গিভার হিসেবে গড়ে তুলা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। কেয়ার গিভাররা শান্তির নীড়ে বসবাসকারীদের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বা ব্যাক্তি পর্যায়ে সেবা প্রদান করতে পারবেন। তাদেরকে সন্মানি প্রদানের পর বাকী অংশ দিয়ে সোসাইটির ব্যয় নির্বাহ করা। তারা ৮/১২/১৬/২৪ ঘন্টা বা মাসিক হিসেবে নির্দিষ্ট সেবামূল্যের বিনিময়ে সেবা প্রদান করবেন।
প্রকল্পে সকলের জন্য থাকবে সব রকমের বই, মেগাজিন, আর্টিকেল ইত্যাদি দিয়ে সমৃদ্ধ আধুনিক লাইব্রেরী। প্রকল্পে বসবাসরত সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য সব রকমের সুবিধা সমৃদ্ধ আধুনিক জীমনেসীয়াম বা ব্যয়ামাগার এর ব্যবস্থা থাকবে । অবসর সময় কাটানোর জন্য থাকবে ইনডোর খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সজ্জিত রিক্রিয়েশন রুম।