ব্যবসায়ীক ঋণ
আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করুন আমরা আছি আপনার পাশে
সুচিপত্র
উদ্দেশ্য
খ্রীষ্টান সমাজের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সংকটের সময় আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এই ব্যবসায়ীক ঋণ প্রকল্প চালু করেছে।
ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা
ক) ঋণ গ্রহীতাকে অবশ্যই সোসাইটির সদস্য হতে হবে। ঋণ গ্রহণকারীর বয়স ৬২ বৎসর এর অধিক হলে ঋণ গ্রহণের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
খ) প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে হবে এবং ব্যবসায়ের বয়স কম পক্ষে ২ বছর হতে হবে।
গ) ট্রেডলাইসেন্স এবং যৌথ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম থাকতে হবে।
ঋণ গ্রহণের নিয়মাবলী
ক) সোসাইটি কর্তৃক সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট আবেদন পত্রের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
খ) আবেদন পত্রের সহিত আয়কর (TIN) সার্টিফিকেটসহ বিগত আর্থিক বছরের আয়কর রির্টানের রশিদ প্রদান করতে হবে।
গ) বিগত আর্থিক বছরের ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্টেটম্যান্ট দিতে হবে।
ঘ) ব্যবসায়ের বিগত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
ঙ) ব্যবসায়ীর নিজ অথবা প্রতিষ্ঠানের নামের জমি, ফ্ল্যাট বা কারখানা সমিতির নামে আম-মোক্তারনামা সহ সাধারন বন্ধকী করতে হবে এবং NOC প্রদান করতে হবে।
চ) অংশীদারী ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অংশীদারদের আম-মোক্তার নামায় স্বাক্ষী হিসাবে ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকার প্রদান করতে হবে।
ছ) অংশীদারদের আয়কর (TIN) সার্টিফিকেট সহ বিগত আর্থিক বছরের আয়কর রির্টানের রশিদ প্রদান করতে হবে।
জ) জমি, ফ্ল্যাট বা কারখানা বন্ধকীর ক্ষেত্রে মালিকানার সমস্ত কাগজপত্রের ফটোকপি ঋণের আবেদনপত্রের সহিত জমা দিতে হবে। নিজ নামে সিটিজরিপ এর নামজারী, পর্চা এবং হালনাগাদ খাজনার রশিদের ফটোকপি দিতে হবে। জমি, ফ্ল্যাট বা কারখানার সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে।
ঝ) ঋণ গ্রহণের পূর্বে আবেদনকারীর সিডিউল ব্যাংক এর স্বাক্ষরিত এম,আই,সি,আর চেক প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে যতবছর মেয়াদী ঋণ গ্রহন করা হবে সদস্যকে ততটি এম,আই,সি,আর চেক প্রদান করতে হবে সর্বোচ্চ ১২টির বেশী নয়।
ঞ) মর্টগেজ ফি বাবদ ৩০০০/-টাকা প্রদান করতে হবে।
ট) জামিনের ক্ষেত্রে ৩০% মর্টগেজ এবং ৭০% এম,আই,সি,আর চেক জামিনের মাধ্যমে ঋণ গ্রহন করা যাবে।
ঠ) ঋণ গ্রহীতা কোন মাসে কিস্তি দিতে না পারলে সাধারণ ঋণের নিয়মানুযায়ী সুদ ও জরিমানা প্রদান করতে হবে।
ঋণের পরিমান
এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে তবে কোন ক্রমেই ঋণের পরিমান জমি, ফ্ল্যাট বা কারখানার বাজার মূল্যের ৭০% এর বেশী নয়। সেক্ষেত্রে ত্রিশ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য তিনমাস পূর্বে তিন লক্ষ টাকা এবং পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ঋণের জন্য তিনমাস পূর্বে পাচঁ লক্ষ টাকা শেয়ারে থাকতে হবে। সঞ্চয়ী হিসাবে জমাকৃত টাকাও এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে বাৎসরিক ১৪% হারে সুদ প্রদান করতে হবে।
টপ-আপ ঋণের নিয়মাবলী
ক) সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রেও টপ-আপ ঋণের সুবিধা প্রদান করা হবে।
খ) যে সকল সদস্য-সদস্যা ঋণ গ্রহন করে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন তাদের ক্ষেত্রে শুধু এই সুবিধা প্রদান করা হবে।
গ) গৃহীত ঋণ কমপক্ষে এক বছর এবং ৪০% পরিশোধ করার পর টপ-আপ সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ঘ) টপ-আপ ফি হিসাবে ৩,০০০/- টাকা এককালীন প্রদান করতে হবে।
ঙ) নতুন ঋণের জন্য কোন আম-মোক্তার নামা প্রযোজ্য নয়, শুধুমাত্র ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষীসহ অঙ্গীকার প্রদান করতে হবে।
চ) সর্বোচ্চ ১২০ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
ছ) উক্ত ঋণে কোন প্রকার সুপারিশ গ্রহণীয়/গ্রহণযোগ্য হবে না।